সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১২:৩৫ অপরাহ্ন

আরও ১০টি এয়ারক্রাফট কিনছে বাংলাদেশ বিমান

আরও ১০টি এয়ারক্রাফট কিনছে বাংলাদেশ বিমান

স্বদেশ ডেস্ক:

যাত্রীসেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হচ্ছে নতুন ১০টি অত্যাধুনিক এয়ারক্রাফট। ফ্রান্সের এয়ারবাস কোম্পানির কাছ থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে এগুলো কেনা হবে। সম্প্রতি এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। আজ বুধবার দুপুরে বিমানের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্যদের বৈঠকে ক্রয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এ সময় বিমানের দাম, কেনার প্রক্রিয়াসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী গতকাল আমাদের সময়কে জানান, বিমানের বহর আরও শক্তিশালী করতে নতুন ১০টি এয়ারক্রাফট কেনার নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিমানের পরিচালনা পর্ষদ ক্রয় পদ্ধতি, দাম, অর্থের উৎসসহ নানা টেকনিক্যাল বিষয় যুক্ত করে একটি প্রোফাইল সরকারের উচ্চমহলে পাঠাবে। তিনি জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে দুটি বিমান আনা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যগুলো আসবে। বিমান বহরে নতুন এয়ারক্রাফটগুলো যুক্ত হলে বন্ধ রুটসহ নতুন নতুন রুট চালু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ বিমান সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আগে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে ১০টি নতুন অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ ক্রয় করে। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এ সংক্রান্ত চুক্তি সম্পাদন হয়। সে অনুযায়ী ইতোমধ্যে সব এয়ারক্রাফট বিমানবহরে যুক্ত হয়েছে।

বিমানের পরিচালনা পর্যদের এক সদস্য এ বিষয়ে আমাদের সময়কে বলেন, উড়োজাহাজ ক্রয়ের বিষয়টি নীতিগতভাবে চূড়ান্ত করেছে সরকার। এখন কীভাবে উড়োজাহাজ ক্রয় করা হবে, প্রতিটি উড়োজাহাজের দাম কত পড়বে- এগুলো নির্ধারণে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি এসব বিষয় নিয়ে এয়ারবাস কোম্পানির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবে।

বর্তমানে বিমান বহরে মোট উড়োজাহাজের সংখ্যা ২১টি। ১০টি নতুন প্লেন যুক্ত হলে সংখ্যা দাঁড়াবে ৩১টি। বিমানের এক কর্মকর্তা জানান, ১৯৭২ সালের ৭ মার্চ চট্টগ্রাম ও সিলেটে এবং ৯ মার্চ যশোরে একটি ফ্লাইটের মাধ্যমে আকাশে উড়ে বিমান। এভাবেই শুরু হয়েছিল বিমানের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের তিন দিন আগে অর্থাৎ ৪ মার্চ ১৭৯ জন যাত্রীকে লন্ডন থেকে ঢাকায় নিয়ে আসার মাধ্যমে বিমানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রা শুরু হয়।

আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী এবং মালামাল পরিবহনের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সেবাও প্রদান করে থাকে বিমান। বিশ্বের প্রায় ৪২টি দেশের সঙ্গে এর আকাশ সেবার চুক্তি থাকলেও মাত্র ১৬টি দেশে এখন কার্যক্রম বিদ্যমান।

দেশের জাতীয় পতাকাবাহী এই সংস্থাটি প্রধানত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ ছাড়াও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেও এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877